হাতে লিখা খামের চিঠির যোগ ফুরিয়ে গেছে। নতুন আঙ্গিকে চিঠি আত্মপ্রকাশ পেয়েছে যাকে বলে ই-মেইল কিংবা নানান নামে। আমিও তাই আজ চিঠি দিচ্ছি উন্মুক্ত ভাবে ফেইসবুক স্টাটাসে।
চিঠি যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের ও যে হয়েছে নানান পরিবর্তন। দিনে দিনে মানুষ গুলো যেন যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে। চিঠির যুগে যেমন প্রেম ছিলো, ভালোবাসা ছিলো, ছিলো কত আবেগ অনুভূতি, মানুষের প্রতি মানুষের আত্মিক বন্ধন কিংবা মানবিকতা। চিঠির সাথে সাথে সবকিছুই যেন হারিয়ে যাচ্ছে। চিঠি পরিবর্তে যেমন ইলেক্ট্রনিক মেইল সহ নানান মাধ্যম এসেছে। আবেগ অনুভূতি কিংবা ভালোবাসা বন্ধুত্বের পরিবর্তে এসেছে স্বার্থান্বেষী, অমানবিকতা, হিংসাত্মকতা…… এরকম অনেক কিছুই। কেউ কেউ হয়তো আমার সাথে দ্বিমত হয়ে স্বর উচু করে বলে উঠবে চিঠির যুগে কি এসব ছিলো না? প্রত্যুত্তরে তখন আমার স্বর কম্পিত উচ্চারিত ধ্বনি উঠবে চিঠির যুগে যেমন মুষ্টিমেয় স্বার্থান্বেষী, অমানবিকতা, হিংসাত্মকতা…. ছিলো তেমন এখনো মুষ্টিমেয় প্রেম, ভালোবাসা, আবেগ অনুভূতি, মানবিকতা কিংবা আত্মিক সম্পর্ক আছে। কিন্তু যারা আছে তাদেরকে প্রতিনিয়ত সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন প্রতিকূলতা, কেউ হাসি-ঠাট্টা করবে, কেউ সমালোচনা করবে এইরকম বিভিন্ন ভাবে দমিয়ে দিবে। নয়তো তার সেই উদারতা কে তাদের নিজস্ব সম্পদ মনে করে ব্যাবহার করতে চাইবে, ব্যাবহিত না হলেই করবে গায়েল করার চেষ্টা।
এই সমাজে এখন চিঠির বিরুদ্ধে চিঠি, ভালোবাসার বিরুদ্ধে ভালোবাসা, আবেগর বিরুদ্ধে আবেগ, মানবিকতা বিরুদ্ধে মানবিকতা চলে। দিন শেষে লেনাদেনাটা সবাই বুঝে নিয়ে স্বীয় ঘরে ফিরে যেতে চাই। তাইতো আজ দেখি মনুষ্য প্রজাতি মধ্যে নিজের প্রাণ নিজেই কেরে নেওয়ার প্রবণতা। কেউ আর বলেনা ” এই পৃথিবীতে আমি হাজার বছর বাছতে চাই” সবাই এই ব্রহ্মাণ্ড থেকে মুক্তি চাই, শান্তির নিঃশ্বাসের জন্য।
তাই এখন খুব বলতে ইচ্ছে করে প্রয়োজন নেই আমার এই আধুনিকতার আমি সেই চিঠির যুগে ফিরে যেতে চাই। সৃষ্টি করতে চাই ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটি মানবিক সমাজ।