কুবি গাউসিয়া কমিটির উদ্যোগে ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

লেখক: ফয়সাল মিয়া, কুবি
প্রকাশ: ২ দিন আগে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে-(কুবি) গাউসিয়া কমিটির উদ্যোগে পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে শিরনি বিতরণ এবং “শানে মোস্তফা হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা–২০২৫” এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুর ২:০০ টায় ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের কনফারেন্স রুমে এ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক  মোহাম্মদ মাকসুদুল করিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাগরণ মানবিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ জাবের হোসাইন এবং আমরা কুমিল্লা তরুণ প্রজন্ম সংগঠনের উপদেষ্টা  কাজী কায়কোবাদ । প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা কান্দিরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব  মাওলানা মুফতি ইব্রাহিম আল কাদ্বেরী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহমের তাৎপর্য, হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রাহঃ)-এর আধ্যাত্মিক অবদান এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নৈতিক ও ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। পরে “শানে মোস্তফা হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা–২০২৫” এ অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের মধ্যে ১২ জন বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে পর্যায়ক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জন করেন বাংলা বিভাগের ১৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আফসানা তাহসিন মুক্তা, হিসাব ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রুহুল আমীন খান এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন একই বিভাগের ১৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইফফাত। শিশু বিভাগ থেকে  পুরস্কার পেয়েছেন গাউছিয়া হাশেমীয়া খুরশিদা আলী সুন্নিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস হাবিবা।

গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম জানান, “ফাতেহা-ই ইয়াজদাহুম বা বড় পীর সাহেবের ফাতেহা বাংলার মুসলমানদের কাছে এক আবেগময় ঐতিহ্য। একসময় এই দিনকে কেন্দ্র করে ঘরে ঘরে রান্না হতো চার দানার শিরনি সহ নানান খাবার। ছিল মিলাদ, কিয়াম, দরুদ সালাম, কাসিদা পাঠ ও শিরনি বিতরণের উৎসবমুখর পরিবেশ। শিশুদের আনন্দে মুখর হয়ে উঠত প্রতিটি ঘর।সেই শৈশবের স্মৃতি ও ঐতিহ্যকে স্মরণে রেখে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত ফাতেহা-ই ইয়াজদাহুম অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল এক প্রাণবন্ত আয়োজন। নাতে রাসুল ﷺ, কাসিদা পাঠ, তাবারুক বিতরণ ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান পুরো প্রোগ্রামটিকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। আমি প্রোগ্রাম সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য প্রার্থনা করা হয়।