মাদকের অপব্যবহার প্রতিরোধে পরিবার সমাজ রাষ্ট্রের সমন্বিত পদক্ষেপ” শীর্ষক একটি গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং বেসরকারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র “বারাকা” এর উদ্যোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১২ টায় এ গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফুির রহমান এনডিসি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদেরকে আমাদের দেখে রাখতে হবে যাতে তারা মাদকের প্রতি আশক্ত না হয়। তাছাড়াও মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলো মাদকাসক্ত ব্যাক্তিদের জন্য কাজ করতেছে। তাদের অনেক অবদান রয়েছে। রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার সবাই একসাথে মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করলে ৯৯% সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
বৈঠকের মূল বিষয়ের উপর বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক একেএম শওকত ইসলাম ডিএনসি বলেন, যে পরিবারের একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি আছেন তারা ছাড়া তাদের কষ্ট কেউ বুঝবে না। আমাদের যুব সমাজে মাদকের উপর আসক্তি বাড়ছে যা আমাদের দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। মাদক নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। আমাদের অধিদপ্তরে অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা অনুমোদন হয়েছে আমরা অতি দ্রুত মাদক নিয়ন্ত্রণে অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করবো।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. বাহাউদ্দীন বলেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করলে সমাজে মাদকের প্রভাব কমাতে পারবো।মাদকের সমস্যা একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না। দেশ, সমাজ ও পরিবার সম্মেলিতভাবে কাজ করলে এই আগ্রাসন রোধ করতে পারবো।
মূল বিষয়ের উপর বক্তাদের বক্তব্যে শেষে উপস্থিত বক্তাদের মুক্ত আলোচনা শুরু হলে একমাত্রা সোসাইটির প্রতিনিধি সুলগ্না বলেন, মাদকের অপব্যবহার রোধে পরিবারকে সচেতন হতে হবে।কি কারণে সন্তানেরা এটাতে আগ্রহী হচ্ছে তা নিয়ে আমাদের চিন্তা করা দরকার। পথশিশুদের মাদকের অপব্যবহার রোধে আমাদের কাজ করতে হবে। মুক্ত আলোচনায় আরেক বক্তা ড. আজমেরী জামান বলেন, আমাদের পরিবারের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানিক ভাবে মাদকাসক্ত ব্যাক্তিদের কাউন্সিলিং করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বারাকার ম্যানেজার জন মন্টু পালমা ও সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন বারাকার পরিচালক ব্রাদার নির্মল ফ্রান্সিস গমেজ সিএসসি। মূল বিষয়ের উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন বারাকার অতনু বড়ুয়া (অন্ত)।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় করেন বারাকার এ্যান্থনী প্রিন্স গমেজ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসির প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা, বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, অধ্যাপক, চিকিৎসক, মনোবিজ্ঞানী, অভিভাবক, সাংবাদিক প্রতিনিধিসহ অন্যান্যরা।
###