কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের ঢল, উত্তাল চবি

লেখক: চবি প্রতিনিধি;
প্রকাশ: ১ বছর আগে

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে চট্টগ্রাম -রাঙামাটি মহাসড়ক অবরোধ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি পালন শুরু করলেও দুপুর ১ টার দিকে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ হেঁটে গিয়ে চট্টগ্রাম -রাঙামাটি মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয় ও তাদের হাতে বিভিন্ন রকমের প্লেকার্ড দেখা যায়।যেমন :‘এ দেশের শিক্ষা ও চাকরি কারও বাপ-দাদার উত্তরাধিকার নয়!’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধার বিকাশ জারি থাক’, ‘বলো রাষ্ট্র তুমি কার? কোটার না মেধার?’

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোরশেদ আলম বলেন, এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে শুধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে। কোটা পদ্ধতিতে এখনও সেই বৈষম্য বহাল রয়েছে। আমরা চাই কোটা পদ্ধতি বাতিল করে একটা বৈষম্যহীন সমাজ।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদ বিন হাবিব বলেন, কোটা বাতিলের জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি। কারণ কোটার কারণে মেধার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। এতে মেধাবীদের শ্রমকে ও তাদের চেষ্টাকে নিয়ে প্রহসন করা হচ্ছে। আমরা কোটা পদ্ধতি বাতিল চাই।

আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু তালাত মোহাম্মদ রাফি বলেন, আমরা চাই, মেধার যথাযথ ব্যবহার হোক। তবে, পিছিয়ে পড়া জনগণ অথাৎ প্রতিবন্ধীদের ব্যাপার আলাদা। তারা কোটার যোগ্য। আমাদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে নিজের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে মরে যাব, তবুও রাজপথ থেকে পিছু হটবো না। আজও হাইকোর্ট তার রায় পুনর্বহাল রেখেছে। কিন্তু আমরা এ রায় মানি না।

কোটাপ্রথা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেই শুধু ক্ষ্যান্ত হননি বরং কোটা নিয়ে তাদের চারদফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে, দুর্নীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ আমলাতন্ত্র গড়ে তুলতে হবে।