সর্বজনীন ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহার ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষকদের কর্মসূচি

লেখক: ফয়সাল মিয়া, কুবি
প্রকাশ: ১ বছর আগে

অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বজননীন ‘ প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনে কর্মবিরতি এবং কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মো. আসাদুজ্জামানের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (২ রা জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কর্মবিরতি এবং ২৬ তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক সমিতি। এর আগে ৩০ জুন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পর থেকে অ্যাকাডেমিক সকল ধরনের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পরে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলছেন এর ফলে বড় ধরনের সেশন জটে পরতে পারেন তারা। এর আগে শিক্ষক-প্রশাসন দ্বন্দ্বে প্রায় ৫১ দিনের মতো বন্ধ ছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, শিক্ষকরা ৫℅ হারে ইনক্রিমেন্ট, ভাতার সুবিধা এবং অবসরের ৬৫ বছর থেকে ৬০ বছর করে নেওয়াসহ নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা এ সর্বজনীন ‘প্রত্যয়’ স্কিম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা শিক্ষকতা করে সম্মানের জন্য কিন্তু এ ‘ প্রত্যয়’ স্কিকেম মাধ্যমে যে বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে এতে শিক্ষকতা পেশায় নতুনদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় অনীহা প্রকাশ করবে যার ফলে ভবিষ্যতে শিক্ষাক্ষেত্রে বড় ধরনের মেধাশূন্য তৈরি হবে। এক দফা দাবি আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন,
এ উপাচার্য আসার পর থেকে শিক্ষকরা বৈষম্যমূলক আচরণে শিকার হয়েছে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে করে যাওয়া উপাচার্যের অনিয়ম, দুর্নীতি ও বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ করতে গেলে গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্য ও ট্রেজারার নেতৃত্বে বহিরাগত ও অছাত্রদের দিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলা করা হয়। এ হামলায় উপাচার্য নিজেও জড়ায়। উপাচার্য পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো যতদিন পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ না করেন। এছাড়াও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ার দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১ জুলাই থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরা এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবেন বলে জানানো হয়। যার প্রতিবাদে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন।