কুড়ি ফুটবে আবার কৃষ্ণচূড়ার ডালে। পাখিরাও নীড় ছেড়ে শুরু করবে কিচিরমিচির গান।পথচলায় আরও যাবে সহস্র বছর।কিন্ত ফিরবেনা বৈষম্যর বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের মহানায়ক আবু সাঈদ কিবা বিসিএস দিতে আসা আফ্রিদী। অথবা মেধাবী শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসাইন।বড় স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন আবু সাঈদ কিবা আফ্রিদী কিন্তু ফিরেছেন লাশ হয়ে।
হ্যা বলছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা।যারা ২০২৪ নানা লড়াই শেষে মৃত্যুর স্বাদ অস্বাদন করেছেন।নতুন বছর আসছে তাই বারবার স্মরণে আসছে আবু সাঈদের কথা।
প্রথমেই চলে আসে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ আবু সাঈদের কথা।অনেক স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে কিন্তু শেষ পযন্ত অধরাই থেকে যায় স্বপ্ন।১৬ জুলাই কোটা আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নির্মম ভাবে প্রাণ দিতে হয় তাকে।থেমে যায় পথচলা।
আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে ।
এসেছিলেন বিসিএস স্বপ্ন নিয়ে।ইদে এ কারণে বাড়িও যাওয়া হয়নি। কিন্ত অবশেষে ফিরেছিলেন লাশ হয়ে।
বলছি বেরোবি শিক্ষার্থী ইমাম আফ্রিদি কথা । কথা ছিল ভালো একটু প্রস্তুতি নিয়ে সামনে বিসিএস পরীক্ষা দিয়েই বাড়িতে যাবেন। সেজন্য ক্যাম্পাসেই এবারের ঈদ উল ফিতর পালন করেন। ১৫ এপ্রিল সকালে সবাইকে কাঁদিয়ে ঘুমের মধ্যেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আফ্রিদি।
ইমাম আফ্রিদি আগুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি যশোরের বাঘাপাড়ায়।
সাদ্দাম হোসাইন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী।পড়াশোনা করতেন ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বি্ভাগে। ২৫ ডিসেম্বর নিজ বাস ভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাটে।
তাছাড়াও নিরাপত্তা শাখায় সি-ক্যাটাগরির নিরাপত্বা প্রহরী পদে কর্মরত মোঃ মোতাহারুল ইসলাম। যিনিও মৃত্যুবরণ করেন ২৪ শে।