হাল্ট প্রাইজ ব্যাংকক ২০২৪ সামিট- এ অংশগ্রহণের জন্য থাইল্যান্ড যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির “টীম এডুএসিস্ট”

লেখক: মো. আয়মান আসিফ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি
প্রকাশ: ২ years ago

আগামী ২১শে জুন থেকে ২৪শে জুন, ২০২৪ তারিখে “হাল্ট প্রাইজ ব্যাংকক ২০২৪ সামিট” প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চুলালংকর্ন ইউনিভার্সিটিতে টীম এডুএসিস্টকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে এই প্রতিযোগিতা শুরু করা ১০০+ দেশের ১০,০০০ টি দলের মধ্যে, শুধুমাত্র ৩৬০টি স্টার্টআপ হাল্ট প্রাইজ ২০২৪ এর বিভিন্ন রিজিওনাল সামিটে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির এডুকেশন টেকনোলজি বিভাগের তিন শিক্ষার্থী মো. আয়মান আসিফ, মো. মুরাদ হাসান এবং কে এম বদরুদ্দোজা এর সমন্বয়ে গঠিত “টীম এডুএসিস্ট” বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের শিক্ষার জন্য জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই দলটি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে বিডিইউতে অনুষ্ঠিত Hult Prize on Campus Local Competition এ চ্যাম্পিয়ন হয়। এবার তারা প্রতিযোগিতার পরবর্তী ধাপে অংশগ্রহনের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যেতে মনোনীত হয়েছে।

তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনার জন্য। একইসাথে তারা শিক্ষা প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুজ্জামান প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন তাদের সমর্থনের জন্য । একইসাথে তারা হাল্ট প্রাইজ ব্যাংকক ২০২৪ সামিট- এ অংশগ্রহণের জন্য থাইল্যান্ড যেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন। তারা বলেন , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি যাতে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারে সেলক্ষ্যে তারা এ ধরণের গঠনমূলক কাজ সবসময় করে যাবে ।

উল্লেখ্য ‘হাল্ট প্রাইজ’ কে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবসায় উদ্যোগ প্রতিযোগিতা। যৌথভাবে যার আয়োজক জাতিসংঘ ও বিল ক্লিনটন ফাউন্ডেশন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘হাফিংটন পোস্ট’ এই প্রতিযোগিতার নাম দিয়েছে ‘শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরস্কার’। প্রতি বছর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আহ্বানে বহু শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এই প্রতিযোগিতার সুবাদে। সমস্যার সমাধান ও সেই সমাধান থেকে ব্যবসার সুযোগ তৈরি করার জন্য পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী দলকে দেওয়া হয় ১ মিলিয়ন ইউএস ডলার (প্রায় ১১ কোটি টাকা)।