বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতিতে আর বাধা নেই বলেছে হাইকোর্ট। সোমবার (১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে একই দিন ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম নামের এক শিক্ষার্থী বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ”বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালে বিজ্ঞপ্তি দেয়। কোন আইনে, কেন ও কিসের বলে এটি করা হলো, এর কোনো কারণ বলা হয়নি। এটি চলমান (রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা) রয়েছে, যে কারণে রিট আবেদনকারী সংক্ষুব্ধ। ১৯৬১ সালের বুয়েট অধ্যাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা সম্পর্কে বলা আছে। রাজনৈতিক সংগঠনের নামে ভিন্নতর কিছু করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ করার কোনো ক্ষমতা অধ্যাদেশে তাদের দেওয়া হয়নি। বিজ্ঞপ্তিটি সংবিধানের ৩৭, ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।”
এই বিজ্ঞপ্তি সংবিধান ও বুয়েট আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে শুনানিতে উল্লেখ করেন আরেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নূরুল ইসলাম।
আদালতের আদেশের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জানান, আদালত রুল দিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন। ফলে বুয়েটে এখন থেকে ছাত্ররাজনীতি করায় আর কোনো বাধা থাকল না।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বুয়েট উপাচার্য বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যাম্পাসে ফের ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে।
২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। ওই ঘটনার ৪ বছর পর বুয়েটে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু করতে চাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।