ইন্টারনেটে অনেকসময়ই অনেক অনভিজ্ঞ বা নতুন ইউজাররা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন স্ক্যামের শিকার হয়ে তাদের পার্সোনাল যেকোনো একাউন্ট বা ডাটা এবং অনেকসময় তাদের ব্যাংক ব্যালেন্সও হারিয়ে ফেলেন। অনভিজ্ঞ ইউজারদের ফাঁদে ফেলার জন্য অনেক স্ক্যামার অনেক উপায় অবলম্বন করে থাকে । ইন্টারনেটে প্রতিদিন ই বিভিন্ন স্ক্যাম পদ্ধতি আবিষ্কার হচ্ছে
তবে তার মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো এবং সবচেয়ে ইফেক্টভ একটি টেকনিক হচ্ছে ফিশিং লিংক! আমাদের মধ্যে আমরা অনেকেই প্রায় শুনে থাকি অনেকের আইডি হ্যাক হয়ে যাচ্ছে এর বেশিরভাগ হয়ে থাকে আমাদের অসাবধানতার কারনে আমরা অনেকেই না বুঝেই বিভিন্ন লোভনীয় ওয়েবসাইট এ ডুকে আমাদের সকল ইনফর্মেশন গুলো দিয়ে দেই ! যার কারনে আমরা আমাদের শখের সব কিছু হারিয়ে ফেলি
ফিশিং সাইট কি?
ফিশিং শব্দের অর্থ আমরা সবাই জানি! ফিশিং অর্থ মাছ ধরা অর্থ্যাৎ মাছ ধরার মতো একটা টোপ দিয়ে রাখবেন খেতে আসলেই ফেসে যাবে। ফিশিং সাইট দেখতে হুবুহু ফেসবুক,ইন্সটাগ্রাম কিংবা জিমেইলের এর লগিন পেইজ এর মতো হয়ে থাকে যখন আপনি সেই ওয়েবসাইট এ গিয়ে লগিন করবেন তখন আপনার ইমেইল পাসওয়ার্ড সেই ওয়েবসাইট এর ডাটাবেজে সেভ হয়ে যাবে এবং সেই ওয়েবসাইট এর মালিক বা হ্যাকার আপনার আইডির এক্সেস নিয়ে নিবে!
যদি কেউ কখনো আপনাকে কোনো ওয়েবসাইট এর লিংক দিয়ে বলে এইখানে আপনার ছবি দিয়ে আইডি খোলা আছে বা এই লিংক এ গেলে আপনি অমুক সুবিধা পাবেন, অর্থ্যাৎ বিভিন্ন অফার বা লোভনীয় জিনিস দিয়ে যদি আপনাকে কোনো লিংক দেয় তাহলে বুঝে নিবেন এটা ফিশিং লিংক বা ফিশিং ওয়েবসাইট।
ফিশিং ওয়েবসাইট চেনার উপায় :
ফিশিং ওয়েবসাইট চেনার কিছু উপায় রয়েছে! সবচেয়ে বড় উপায় হলো ssl বা https কারন https যুক্ত ওয়েবসাইট গুলোতে পাসওয়ার্ড ইনক্রিপ্টেড হয়ে যায় যার কারনে সেই পাসওয়ার্ড হ্যাকার রা পড়তে পারে না ssl যুক্ত ওয়েবসাইট থাকলেও আপনি লক্ষ করবে ডোমেইন এর দিকে যদি ফেসবুক এর মতো ওয়েবসাইট হয়ে থাকে তাহলে খেয়াল করবেন ওয়েবসাইট এর link বা url ঠিক আছে কিনা অর্থ্যাৎ Facebook.com বা gmail.com রয়েছে কিনা যদি ডোমেইন টি ভিন্ন হয় তাহলে ভুলেও সেই লিংক এ ক্লিক করবেন না!
যদি আপনি ফিশিং লিংক ইমেইলে পেয়ে থাকেন তাহলে অনেক গুলো উপায়ে সেই ফিশিং লিংক চিহ্নিত করা যায় তার মধ্যে কয়েকটি হলো:
১. যেই ইমেইল থেকে এসেছে সেই ইমেইল চেক করা :
অর্থ্যাত আপনি যেই ইমেইল হতে মেইল পেয়েছেন সেই ইমেইল লক্ষ করবেন যদি সেই ইমেইল কোনো কম্পানি মেইল না হয় এবং সেই ইমেইল যদি সেই কম্পানির ডোমেইন এর ইমেইল না হয় তাহলে সেই লিংক এ কখনোই যাবেন না যেমন যদি ফেসবুক থেকে ইমেইল আসে তাহলে অবশ্যই সেই ইমেইল (mail@facebook.com) or (support@facebook.com) এই ধরনের হবে যদি এই রকম বিজনেস ইমেইল এবং ওয়েবসাইট এর সাথে ইমেইলের মিল না থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেটি ফিশিং লিং
২. আপনার সেন্সেটিভ ইনফর্মেশন :
বড় বড় ওয়েবসাইট বা কম্পানিরা আপনার সেন্সেটিভ ইনফর্মেশন কখনোই চাইবে না
৩. স্পেলিং মিস্টেক
এটা কিন্তু স্ক্যাম ইমেইল চেনার অন্যতম একটি ইফেক্টিভ উপায়। আপনি যেসব স্ক্যাম ইমেইল পাবেন, সেগুলোর অধিকাংশ ইমেইলেই আপনি তাদের লেখা মেসেজের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের স্পেলিং ভুল এবং অনেক গ্রামার ভুল দেখতে পাবেন