পিতামাতা ও পরিচয়হীন পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ না থাকায় তারা শিক্ষাসহ সরকারের নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব শিশুদের সহজ উপায়ে অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের আবেদনের মাধ্যমে জন্মসনদ প্রদানের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় পুরান ঢাকার বাবু বাজার পথশিশু দিবা ও রাত্রীকালীন আশ্রয়কেন্দ্রে আয়োজিত পথশিশুদের জন্ম নিবন্ধন, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক এক মিডিয়া ক্যাম্পেইনে বক্তারা এসব কথা বলেন। উক্ত মিডিয়া ক্যাম্পেইন বিভিন্ন জিও, এনজিও, সামাজিক দলের সদস্য, অভিভাবক ও কর্মীসহ মোট ৩১ জন অংশগ্রহণ করেন মিডিয়া ক্যাম্পেইন সঞ্চালনা করেন লিভা লিওনী রোজারিও।
বারাকা আলোকিত শিশু প্রকল্পের ইনচার্জ লিলি আন্তনিয়া গমেজ বলেন, পথশিশুদের ঝুঁকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বারাকা ২০১০ খ্রিস্টাব্দে পথশিশুদের জন্য দিবা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে ছেলে পথশিশুদের জন্য দিবা ও রাত্রিকালীন আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করে। এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে মেয়ে পথশিশুদের জন্য পৃথক দিবা ও রাত্রিকালীন আশ্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
ঢাকা সিএমএ কোর্টের প্রবেশন অফিসার আল আমিন বলেন, প্রতিটি ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির জন্য জন্মনিবন্ধন আবশ্যিক। ইস্যু ভিত্তিক আলোচনায় স্থানীয় সরকার বিভাগকে যুক্ত করলে জন্মনিবন্ধন করার জটিলতা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। সরকারী স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে শিশুদের ভর্তি করলে শিশুরা সরকারি সকল সুবিধা পাবে।
সমাজসেবার প্রতিনিধি রাসেল মুন বলেন, যে কোনা মানুষের জন্মনিবন্ধন করা প্রয়োজনীয়। সরকার ২০২৪ সাল থেকে জন্মনিবন্ধন আইন পাস করে এবং ২০২৬ সাল থেকে জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। ৩১, ৩২ নং ওয়ার্ড কমিশনারের সাথে আলোচনা করে ৬৭ জন শিশুর জন্মনিবন্ধন জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি আশাবাদী দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশুদেরর জন্মনিবন্ধন সম্পূর্ণ হবে।
কোতয়ালী থানার নারী ও শিশু ডেস্ক এর প্রতিনিধি শারমিন আক্তার বলেন, জন্মনিবন্ধন না থাকার কারনে শিশুরা সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিশুদের জন্মনিবন্ধন করার জন্য যে কোনা প্রয়োজনে সহায়তা করার প্রতিশ্রতি প্রদান করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী এমদাদুল হক বলেন, আঞ্চলিক সরকার মন্ত্রনালয়ের বৈঠকে পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন বিষয়ে আলোচনা করা হলে পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন করার জটিলতা কমে আসবে বলে আমি আশাবাদী।