প্রায় তিন সপ্তাহ বন্ধ রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মচারীরা না আসার কারণে বেড়েছে ঝোপঝাড়। একই সাথে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এ অবস্থায় আবাসিক হল গুলোতে বেড়েছে সাপ ও মশার উপদ্রব।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ , “ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার কারণে আনাচে-কানাচে ঝোপঝাড় বেড়ে গেছে। বদ্ধ ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে আবাসিক হলগুলোতে সাপের উপদ্রবে দেখা দিচ্ছে, এনিয়ে শিক্ষার্থীরা সব সময় আতঙ্কে রয়েছে।”
বুধবার (২২মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের হাজার ব্লকের দ্বিতীয় তলায় ওয়াশরুমের পাশে দেখা গিয়েছে কালো রঙের একটি বিষধর সাপ। সাপ দেখে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, পরে কৌতূহল পূর্ণ শিক্ষার্থীরা সাপটিকে মেরে ফেলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, এ আই এস বিভাগের শিক্ষার্থী শাহানুর রহমান বলেন, “আমি ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় বেসিনের পাশে বিষাক্ত সাপটিকে দেখতে পাই।সাপটি সাথে সাথে পাইপের মধ্যে ডুকে পড়ে। নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে বন্ধুদের নিয়ে সাপটি মারতে বাধ্য হয়েছি”।
হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, পাহাড় ঘেরা বন্য ক্যাম্পাস হওয়ায় প্রতি বছর প্রায়ই আবাসিক হলে বিষাক্ত সাপ দেখা যায়। অনেক সময় ওয়াশরুম-বাথরুম ব্যবহার করতে গিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। হল প্রশাসন সাপের কথা জেনেও উপদ্রব ঠেকাতে কার্বলিক এসিড বা এজাতীয় কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে যেকোনো সময় বড়ো ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মো.জিয়া উদ্দিন জানান, “ঝড় বৃষ্টির কারণে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ওয়াশরুমের পাশে কার্বলিক এসিড দেওয়া আছে। এখন হয়তো কার্বলিক এসিড কমে গেছে, কালকে চেক করে নতুন করে আবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”