কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মো: আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে বহিরাগত এবং ছাত্র নয় এমন একদল দুর্বৃত্ত কর্তৃক শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদও উভয়ের পদত্যাগ এবং অপসারণের এক দফা দাবিতে ১২তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়।
কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য আইনুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে যে গভীর সংকটে পড়েছে সেটার পুরো দায় উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এরফলে শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে শিক্ষার্থীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপাচার্য চাইলে এই সংকট অনেক আগেই সমাধান করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটা না করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেন। আমরা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী সবার কথা চিন্তা করেই আমাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চালু রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরতে চায়। তবে তার আগে আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ করে নিতে হবে। আগামী সোমবার আমাদের সাধারণ সভা আছে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি কি হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত, জাহিদ হাসান এবং আইকিউএসির পরিচালক ড. রশিদুল ইসলাম শেখের নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষকদের উপর হামলা করা হয়।