জবি ছাত্রদলে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভে উত্তাল ক্যাম্পাস: সংঘর্ষ ও সহিংসতার অভিযোগ

লেখক: তৈমুর মবিন, জবি
প্রকাশ: ১০ মাস আগে
Oplus_131072

গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে।নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর পদবঞ্চিত নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। ২৭ সদস্যের এই কমিটিতে তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে পদবঞ্চিতরা। এর জেরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

ফিনান্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের সাধারণ শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জিহানের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের রাইহান হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মো. রায়হান হোসেন পদবঞ্চিত নেতাদের একাংশের নেতৃত্বে আছে। তিনি জবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার অনুসারী বলে জানা গেছে।

এছাড়া নতুন আহ্বায়ক কমিটির ছাত্রদল নেতা আরিফ ও মাহিদ হোসেন রিয়াদ ক্যাম্পাসে প্রবেশকালে তাদের উপর পদবঞ্চিত নেতারা চড়াও হয়ে তাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে বলে জানা যায়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি মানববন্ধন করা কালে ছাত্রদল নেতা অনিক কুমার দাস (মার্কেটিং, ১৭) মানবন্ধনে বাধা এবং আক্রমণাত্মক আচরণ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে এবং জবির হিউম্যান রাইটস সোসাইটি প্রতিবাদ জানিয়েছে।

জবি ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি জানিয়েছে, পদবঞ্চিত নেতারা ক্যাম্পাসে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে তারা ক্যাম্পাসে উপস্থিত হচ্ছেন না। নেতারা আরও জানান, বিগত আসলাম-সুজন কমিটির সময় তারা সাবেক নেতাদের ক্যাম্পাসে রাজনীতি করার সব সুবিধা দিয়েছিলেন। তবে, নতুন কমিটি ঘোষণার পর সাবেক নেতাদের হস্তক্ষেপ এবং তাদের কর্মীদের আচরণকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন।

পদবঞ্চিতরা বেশিরভাগ মূলত জবি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম-সুজন সহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেদের অনুসারী ।

পদবঞ্চিত নেতারা ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছবি পুড়িয়ে তাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।