থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে আতশবাজি ফোটানো, শব্দ দূষণসহ অপসংস্কৃতি প্রতিরোধে গ্রীন ভয়েস,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা-এর উদ্যোগে আয়োজিত হয় পরিবেশ সচেতনতা শীর্ষক ক্যাম্পেইন।
আতশবাজি-পটকা ফোটানো, ফানুশ উড্ডয়ন, তীব্র মাত্রায় শব্দদূষণসহ নানা কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে বছরের প্রথম দিনটি পালন করা বর্তমান তরুণ প্রজন্মের নিকটে এক পরিবেশবিধ্বংসী খেলায় পরিণত হয়েছে। উচ্চ মাত্রায় শব্দদূষণসহ অগ্নিকাণ্ডের মতো অসুস্থ বিনোদনের নির্মম শিকার হচ্ছে শিশু,বৃদ্ধসহ নিরীহ পশুপাখি।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, অপসংস্কৃতি এবং পরিবেশ দূষণরোধ করার মধ্যে দিয়ে সুন্দরভাবে নতুন বছর শুরু করার প্রয়াস নিয়ে অভিযান চালায় গ্রীন ভয়েস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় টীম।
মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান লিমনের নেতৃত্বে গণসচেতনতামূলক অত্র আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন কার্যনির্বাহী সদস্যসহ জবি গ্রীন ভয়েসের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। দিনব্যাপী কয়েকটি ভাগে বিস্তৃত ছিলো আয়োজনটি।
এবিষয়ে জবি গ্রীন ভয়েসের সভাপতি জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “অত্যন্ত গোছালো এবং চমৎকারভাবে আজকের এই আয়োজন সম্পন্ন করতে পারাটা জবি গ্রীন ভয়েসের আরেকটি সময়োপযোগী মাইলফলক ছিলো। আশা করি ভবিষ্যতেও আমাদের এই কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে।”
পরিবেশ রক্ষার্থে পরিচালিত এই আয়োজনকে অভিবাদন জানিয়ে গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবীর জানিয়েছেন,”আমাদের যুবকেরাই পারবে দেশের পরিবর্তন আনতে,দেশের এই পরিবর্তনের হাওয়া সঠিকভাবে বয়ে চলুক, নতুন বর্ষে আনন্দ করতে গিয়ে আর একটি প্রাণও যেন না হারায়। সাধুবাদ জানাই গ্রীন ভয়েস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগকে। আসুন সবাই সচেতন হই।”
গ্রীন ভয়েস জবি শাখার এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গ্রীন ভয়েসের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক ফাহমিদা নাজনীন তিতলী বলেন,”বর্তমান সময়ে তরুণেরাই এই ফানুশ জ্বালাবে, আবার কিছু সচেতন তরুণই আজ নতুন ভাবে নতুন বছর পালনের আহবান জানাচ্ছে, আসুন আমরা সচেতন হই,গ্রীন ভয়েস জবি ইউনিটকে কৃতজ্ঞতা, একটি মানুষ ও যদি উৎসাহিত হয়, সেটাই হবে খুশি সংবাদ।” পোস্টার প্রেজেন্টেশন, গণসচেতনতা তৈরি, লিফলেট বিতরণ, গণসাক্ষর এবং মন্তব্য গ্রহণ, সকল পেশার- শ্রেণির মানুষের মতামত গ্রহণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় গ্রীন ভয়েস জবি শাখার আজকের কর্মযজ্ঞ।