প্রিয় মেঘ
আমি তোমার কাব্য বলছি। জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়ে তোমার সন্ধানে আজকের খোলা চিঠি লেখছি। জানিনা তুমি কোথায় আছো, কিভাবে আছো। আদোও কি এই চিঠি তোমার নিকট পৌঁছাবে কি না তাও জানিনা। তারপর ও মনের তৃষ্ণা মেটানোর প্রবল তাগিদ থেকে এই খোলা চিঠি।
অলিক স্বপ্নের মতো আমাদের জীবন হওয়ার ইচ্ছে যে আমার। কাব্য মেঘের ছন্দে, কাব্যের স্বর্গে ঝুম বৃষ্টির মতো মেঘ সেখান থেকে গল্পকারের কলমের কালিতে গল্পে, চিত্রশিল্পীর তুলির আচরে দৃশ্যে আর থিয়েটার আর্টিস্টের শিল্পের মাধ্যমে আমাদের প্রকাশ। কিন্তু তোমার আমার সেই প্রাণ উজ্জ্বল মাহেন্দ্রখন কখন হবে? কাব্য মেঘের সেই খন দেখার প্রতীক্ষায় কবিটা এখনো বসে আছে, কলমটা যেন স্তব্ধ হয়ে আছে, কালিরা সব হচ্ছে আমরা কাঠের ঢেঁকি, কাগজ গুলো যাচ্ছে পোকাদের দখলে, শুধু তোমার আগমনে কিঞ্চিত অপেক্ষায়। যদি অভিমানী হয়ে থাকো এই তুমি বিহীন কাব্যের মুখোমুখি এববার আসো দেখবে দিব্যি তোমার অভিমান সব নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
তুমি কি দেখতে পাও মেঘ? তোমাকে পাওয়ার আক্ষেপে গন্তব্য বিহীন ট্রেনে আমি, কারণ তোমার অপেক্ষায় কখন যে কোথায় যাচ্ছে এই যন্ত্রটি আমার ঠিক সেইদিকে খেয়াল নেই। মাঝে মাঝে আকাশের দিকে তাকিয়ে সেই মেঘবালিকাদের ভিতর তোমায় খুঁজি, আবার ইট পাথরের এই শহরে মানবদে চালিত যানে একা একা বৃষ্টির ছোঁয়ার মাঝে তোমায় খুঁজি। পার্কের বেঞ্চিতে বাদাম নিয়ে অপেক্ষা করি তোমার আমার গল্পের সূচনা করবো বলে।
আজ এই সময়ে এসে আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হয়, আমি খুব ক্লান্ত এবার দেখা দাও তুমি। সমাপ্তি হোক, না পাওয়ার আক্ষেপ।
সানিউর রহমা