কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে  মানববন্ধনে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষার্থীরা

লেখক: ফয়সাল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কোটা সংস্কারের দাবিতে আগামীকাল শনিবার ( ৬ জুলাই) সকাল ১০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষার্থীরা। ৬ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত টানা দুইদিন চলবে এই মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি।

 

আজ শুক্রবার ফাহিম মুনতাসির ও সানিউর রহমানের একটি লিখিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের মোট ২২  জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেন ।

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহাল এবং প্রয়োজনে কোটা যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে বিবৃতি প্রদান দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বিবৃতিদাতারা কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে স্বাক্ষর প্রদান করেন । স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে যারা সম্পদের মালিক হয়েছে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার দাবি জানান বিবৃতি দাতারা। স্বাক্ষরকৃত বিবৃতিদতারা হলেন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- ফাহিম মুনতাসির ( সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি) সানিউর রহমান (ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক) ইসরাত জাহান ( কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ) ফাহিম শাকিল (ড্যফোডিল ইউনিভার্সিটি), মেহেদী হাসান উজ্জ্বল ( জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), জহিরুল ইসলাম ( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), রনি (ড্যফোডিল ইউনিভার্সিটি),রূপম ধর ( ইউনিভার্সিটি অফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
আইরিন মৃধা ( কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ),তাবাসসুম মৃধা (প্রাইম ইউনিভার্সিটি),মোহাম্মদ শাহরিয়ার রসিদ (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়),হোসাইন ইসলাম জয় (অন্বেষা বিদ্যাপীঠ স্কুল এন্ড কলেজ),মো. জাহিদ হোসেন ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ),নাঈম আহমেদ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজ),অনিরুদ্ধ মানব (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি) মারুফ মিয়া (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) রুবেল হোসেন রাফি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজ), ফাহমিদা সুলতানা ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ) তিশা রাণী পোদ্দার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ) নাশিদ সাবা নূর তাসমিম ( স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। সাগর দেবনাথ হৃদয় (ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট)

 

উল্লেখ্য ২০১৮ সালের সরকারের জারি করা পরিপত্র বাতিল চেয়ে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান চাকরি প্রার্থী মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন। রিটের শুনানি শেষে গত ৫ জুন সরকারের জারি করা ২০১৮ সালের পরিপত্র মহামান্য হাইকোর্ট বাতিল ঘোষণা করে। গত ৯ জুন উক্ত রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্র পক্ষ চেম্বার জজে আবেদন করেন। চেম্বার জজ আবেদন টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য গত ৪ জুলাই নির্ধারণ করেন। রিট কারি পক্ষ গত ৪ জুলাই আপিলটি শুনানি জন্য সময় প্রার্থনা করেন। ফলে গত ৪ জুলাই আবেদন টির শুনানি হয়নি।