কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উভয়ের পদত্যাগ ও অপসারণের এক দফা দাবিতে ২১ তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কুবি শিক্ষক সমিতি।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক সমতির শিক্ষকগন।
এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, “আমাদের দাবিগুলো এখনো পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি। দাবি বাস্তবায়ন হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে। আগামী ২৩ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ২৩ তারিখের আগে আমরা সরাসরি অথবা অনলাইন মিটিং এর মাধ্যমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো। আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হোক তারপর আমরা আমাদের জায়গা থেকে সরবো। আমরা উপাচার্য স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য, কিন্তু তিনি আমাদের কথা উপেক্ষা করে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।
কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান,
আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। ২৮ তারিখে ঘটে যাওয়া বর্বর হামলার বিচার আমরা এখনো পাইনি। উপাচার্য আমাদের দাবিগুলো মৌখিকভাবে মেনে নিলেও বাস্তবে তার ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের জায়গা থেকে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অন্যায়, নিপীড়ন এবং শিক্ষকদের ওপর হামলার কারণে উপাচার্য ও ট্রেজারারের পদত্যাগের দাবিতে আমাদের এই কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত ও জাহিদ হাসান এর নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষকদের উপর হামলা করা হয়।