২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উভয়ের পদত্যাগ ও অপসারণের এক দফা দাবিতে ২৬ তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কুবি শিক্ষক সমিতি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয় ৷ একই সাথে তারা তিন ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, ” বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের এর নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধ কর্মবিরতি পালন করেছি পাশাপাশি আমাদের চলমান দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান কর্মসূচি চালমান রয়েছে । গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্য ও তার শিক্ষকদের নেতৃত্বে যে হামলা চালানো হয়েছে তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে । আমরা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অর্ধকর্ম দিবস, দুপুর ১২টা থেকে ১ টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চলমান অবস্থান কর্মসূচির ২৬তম দিন হিসেবে দুপুর ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের এর নির্দেশনা চলমান থাকবে এর পাশাপাশি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উভয়ের পদত্যাগ ও অপসারণের এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাবো।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত, জাহিদ হাসান এবং আইকিউএসির পরিচালক ড. রশিদুল ইসলাম শেখের নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষকদের উপর হামলা করা হয়। তাছাড়া ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগামী ১ জুলাই থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরা এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবেন বলে জানানো হয়।
