কুবিতে পুরোদমে চলেছে শিক্ষক সমিতির কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি

লেখক: ফয়সাল মিয়া, কুবি
প্রকাশ: ১ বছর আগে

অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বজননীন ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনে কর্মবিরতি এবং কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

রবিবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কর্মবিরতি এবং ২৯ তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক সমিতি। এর আগে ৩০ জুন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পর থেকে অ্যাকাডেমিক সকল ধরনের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পরে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের বলেন ,”প্রতিদিনই চলছে আমাদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি। সর্বজনীন প্রত্যয় স্কিম শিক্ষকদের স্বার্থের পরিপন্থী তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমনিতেই সুযোগ-সুবিধা নেই। কিন্তু প্রত্যয় স্কিম এর ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুবিধা আরো কমে যাবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যা শিক্ষক বিদেশে স্কলারশিপ এ যাচ্ছে এমনিতে তারা তেমন ফিরে আসে না। তারপর আবার যাদি কিছু সুযোগ সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তারা মনে হয় না বিদেশ থেকে আর ফিরে আসবে। আমেরিকায় যারা যায় তারাতো এমনিতেই আসে না।এতে দেশের শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকদের হারাবে । ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা আমাদের পাশের দেশ সেখানে কিন্তু শিক্ষকদের আলাদা বেতল স্কেল রয়েছে একজন কর্মকর্তা যত বেতন পায় তার দেড়/ দুই গুন বেশি বেতন পায় শিক্ষকরা। আমাদের দেশে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল নাই। আমাদের আরেকটি দাবি হচ্ছে সরকার আমদের বলেছিল। শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে নিয়ে যাবেন। কিন তার বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। এদিকে খুব কম সংখ্যক শিক্ষকরা গ্রেড ওয়ান এ যেতে পারেন। গ্রেড ওয়ানে বেতন প্রাপ্ত একজন শিক্ষক সচিবের সমান মর্যাদা লাভ করবেন। একজন সচিব, ডেপুটি সচিব বা অতিরিক্ত সচিব হলো একজন এসোসিয়েট প্রফেসর এর নিচে কিন্তু একজন সচিব যে পরিমান সুযোগ সুবিধা পাই একজন শিক্ষক তা পায় না, একজন সচিব হিসেবে সে গাড়ি কেনার জন্য টাকা পায়, পিয়ন পায়, ড্রাইভার পাই,জ্বালানি পাই কিন্তু শিক্ষকরা কিছুই পাই না শিক্ষকদের সুপার গ্রেড কিন্তু বাস্তবায়িত হচ্ছে না।বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলন আমাদের অব্যাহত আছে।আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”