অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বজননীন ‘ প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনে কর্মবিরতি এবং কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মো. আসাদুজ্জামানের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কর্মবিরতি এবং ২৮ তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক সমিতি। এর আগে ৩০ জুন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পর থেকে অ্যাকাডেমিক সকল ধরনের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পরে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলছেন এর ফলে বড় ধরনের সেশন জটে পরতে পারেন তারা। এর আগে শিক্ষক-প্রশাসন দ্বন্দ্বে প্রায় ৫১ দিনের মতো বন্ধ ছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষকদের কর্মসূচির বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, আমরা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে আন্দোলন করছি। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত একইভাবে আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা সরকারের কাছে আমাদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি।
শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান,” বরাবরের মতোই আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পূর্ব ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম পালন করেছি। আমাদের দাবি একটাই যে উপাচার্য আমাদের সহকর্মীর উপর সরাসরি আঘাত করেছে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহযোগিতার নির্দেশনা দিয়েছে সে উপাচার্য নৈতিকভাবে প্রধান পৃষ্ঠপোষক বা অভিভাবক হিসেবে থাকার নৈতিক অধিকার রাখে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি চাই ওনি স্বেচ্ছায় এই পদ ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যাক।