ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার এর উদ্যোগে রংপুরে সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত

লেখক: বেরোবি প্রতিনিধি:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

রংপুর অঞ্চলের শিক্ষার্থী সুধীসমাজ ও বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের নিয়ে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার এর উদ্যোগে সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত।

২ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার সকাল ১০ ঘটিকায় বেগম রোকেয়া মিলনায়তন, আরডিআরএস, রংপুরে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর আয়োজনে এবং ইউকেএইড এর ফোর্ব: এজেন্ট অফ চেঞ্জ প্রজেক্ট এর সহায়তায় একটি ‘সম্প্রীতি সংলাপ’ আয়োজন করা হয়েছে।এতে শিক্ষার্থীরা সংগঠনের কার্যক্রম বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর(অব:) রানা মোহাম্মদ সোহেল, ডিরেক্টর অপারেশন্স, এজন্টেস অফ চেঞ্জ প্রজেক্ট এবং পলিসি অ্যাডভাইজার, চার্চ অফ ইংল্যান্ড এর মি. চার্লস রীড, এজেন্টস অফ চেজ প্রজেক্ট-এর প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার ড. শাহনাজ করীম, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শশাঙ্ক বরণ রায়, রংপুর সুজন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, রংপুর মহানগর সুজন সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফকরুল আনাম বেঞ্জু, বেগম রোকেয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক লায়ন আজহারুল ইসলাম দুলাল প্রমুখ।হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর রংপুর অঞ্চলের সমন্বয়কারী রাজেশ দে রাজু এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত আয়োজনে নাগরিক নেতৃত্ব, ধর্মীয় নেতৃত্ব, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার রংপুরের তরুণ নেতৃবৃন্দসহ স্বেচ্ছাব্রতীদের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। সামাজিক সম্প্রীতি বলতে বোঝায় সমাজের মধ্যে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক সহঅবস্থান। সামাজিক সম্প্রীতি মানুষের মধ্যকার বৈচিত্র্যময়তাকে স্বীকৃতি দেয় এবং নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় এর মানুষের শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান নিশ্চিত করে সমাজের বিকাশমান ধারাকে অব্যাহত রাখতে সম্প্রীতির কোন বিকল্প নেই।

মেজর(অব:) রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আমাদের সমস্যা আগেও ছিল, এখনো আছে এবং থাকবে। কিন্তু আমাদের সচেতন থাকতে হবে, আমাদের তরুণদের এই লড়াইটা সব সময় চালিয়ে যেতে হবে, থেমে যাওয়া চলবে না। তবেই সমাজে সম্প্রীতি, সচেতনতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

শাহানাজ করিম বলেন, আমাদের মাঝে গুজবের বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে। গুজবের ফলে যে সহিংসতা সৃষ্টি হয়, সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। একই সাথে আমাদের বুঝতে হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই আমাদের এই সমস্যার সমাধান আনা সম্ভব। আমাদের তরুণদেরকে এ বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে। আমাদের সবাইকে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে, আশা হারানো যাবে না।

শশাঙ্ক বরণ রায় বলেন, পূর্বের মানসিকতা পরিববর্তন করে একজন উপযুক্ত ইয়ুথ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে এবং অবদান রাখবে । এর পাশাপাশি আমাদের যারা নাগরিক সমাজ রয়েছে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুললে এই ইয়ুথরা আরও এগিয়ে যাবে এবং সম্মিলিত আওয়াজের মাধ্যমে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন তাদের কাছে আমরা দাবি তুলতে পারব যেন তারা আরও গুরুত্বের এর সাথে ভূমিকা পালন করে ।
সংলাপ শেষে, চার্লস রীড, ড. শাহান করিম, শশাঙ্ক বরণ রায় ও রাজেশ দে রাজু সহ ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার রংপুরের ফোর্ব: এজেন্ট অফ চেঞ্জ প্রজেক্ট এর সাথে যুক্ততরুণদের সাথে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে তাদের কার্যক্রম, সফলতা, বিভিন্ন চেলেঞ্জ এর পাশাপাশি সামনের দিনে কি কি করা যেতে পারে বা আরোও কিভাবে তরুণদের নিয়ে এই সম্প্রীতির বার্তাকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে সে নিয়ে আলোচনা করা হয়।